মীম নোশিন নাওয়াল খান
সোহেল রানা ফেরিতে ঘুরে ঘুরে যাত্রীদের কাছে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করে সে। তার
বাড়ি পটিুরিয়ার দড়িডাঙ্গিতে। সোহেলর বাবা কুলির কাজ করেন। মা কিছু করেন না। বাবার সামান্য উপার্জনে সংসার চালানো সম্ভব হয় না। তাই বাবার সঙ্গে সংসারের হাল ধরেছে সোহেলও। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সে। ছোট ভাইয়েরা লেখাপড়া করলেও সে করে না। সে জানাল, পড়তে ইচ্ছেও করে না তার। কারণ জানতে চাইলে সোহেল বলল, ‘ল্যাহাপড়া করলে ভাত খামু ক্যামনে? তাই পড়ি না।
সোহেলর মত আরও অনেক শিশুই লেখাপড়া না করে কাঁধে তুলে নিয়েছে সংসার চালানোর দায়িত্ব। এই বয়সে তাদের হাতে শোভা পাওয়ার কথা বই-খাতা, কলম-পেন্সিল, সেখানে তাদের হাতে থাকে চকলেট-বিস্কুট কিংবা ডিমের ঝুড়ি।
লেখাপড়ার ফাঁকে ঘুরতে যাওয়ার পথে তাদের বয়সী ছেলেমেয়েরাই তাদের কাছ থেকে কেনে চকলেট। ফেরিতে চকলেট-বিস্কুট ইত্যাদি ফেরি করা এসব শিশুর অধিকাংশই লেখাপড়া করার সুযোগ পায় না। অথচ একটি সুন্দর দেশ গড়তে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা অন্যতম প্রধান শর্ত। এসব শিশুর উজ্জ্বল শৈশব, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরকেই। কারণ, শিশুরাই তো আগামীর ভবিষ্যৎ।