প্রায়ই পেটফাঁপার সমস্যায় ভোগেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। পেটফাঁপার কারণটা ব্যক্তিভেদে আলাদা। তবে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করে পেটফাঁপার মতো সমস্যা থেকে বাঁচা সহজ। এই যেমন, রাতে খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। খাওয়ার পরপরই শুতে নেই, এ কথা সবাই জানলেও অনেকেই মেনে চলেন না। জীবনধারায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন এনে এমন সমস্যা এড়াতে পারেন আপনি। চাইলে এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন রোজ সকালে খালি পেটে কোনো একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় গ্রহণের অভ্যাস।
লেবু-পানির তিন রূপ
সকালে উঠে আধা গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এই পানি কুসুম গরম হলে ভালো। এরপর এক গ্লাস কুসুম গরম পানি নিয়ে এই তিন পদ্ধতির যেকোনো একটি দিয়ে পানীয় তৈরি করুন—
১. কুসুম গরম পানিতে একটুকরা লেবুর রস মেশান। সকালে এই লেবু-পানি দারুণ স্বাস্থ্যকর।
২. কুসুম গরম পানিতে একটুকরা লেবুর রস মেশান। এর সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
৩. কুসুম গরম পানিতে একটুকরা লেবুর রস মেশান। এর সঙ্গে আধা চা-চামচ কালিজিরা যুক্ত করে নিন। ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রাখার পর পানীয়টি খেয়ে নিন। কালিজিরার দানা খেতে অস্বস্তি লাগলে ছেঁকে নিতে পারেন।
আদা-পানি
আধা ইঞ্চি আদা নিন। স্লাইস করে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। খালি পেটে খেয়ে নিন।
সহজ ডিটক্স পানি
ঘুম থেকে উঠে আধা গ্লাস পানি খেয়ে নিন। এরপর কাঁচা খাওয়া যায়, এমন কোনো ফল বা সবজি বড় টুকরা করে কেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পাত্রটি ঢেকে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর এটিই হয়ে যাবে ডিটক্স ওয়াটার। এই পানি খেয়ে নিন। ফলটি কিন্তু একটি লেবুর টুকরাও হতে পারে।
আবার এক গ্লাস উষ্ণ পানি, অর্থাৎ যা কুসুমের চেয়ে একটু বেশি গরম, তাতে শুধু লেবুর বড় একটা টুকরা ভিজিয়ে ঢেকে রাখলেও চলবে। এই পানি একটু ঠান্ডা হয়ে গেলেই খেয়ে নিন।
চিয়াবীজ ভেজানো পানীয়
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ চিয়াবীজ ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। পেটফাঁপা রোধে ভূমিকা রাখে এই পানীয়।
ইসবগুলের ভুসি মেশানো পানি।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ ইসবগুলের ভুসি ভিজিয়ে ঝটপট খেয়ে নিন। এই পানীয়তেও আপনার পেটফাঁপার সমস্যা দূর হবে।
শেষ কথা
সকালে খালি পেটে কেবল এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেলেও কিন্তু উপকার পাবে।