১. শান্ত থেকে কথা বলুন বাচ্চা জেদ করলে চিৎকার না করে শান্তভাবে বলুন, “আমি তোমার কথা বুঝতে চাই, কিন্তু আগে একটু শান্ত হও।” এতে বাচ্চাও ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়।
২. মনোযোগ দিয়ে শুনুন তার চোখের দিকে তাকিয়ে বলুন, “তুমি কি কিছু বলতে চাও?” সে বুঝবে, তার অনুভূতি আপনি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
৩. অন্য বিকল্প দিন সে যদি আইসক্রিম চায়, আপনি বলুন, “আইসক্রিম নয়, কিন্তু তুমি ফল বা দই পেতে পারো, কোনটা খাবে?” এতে বাচ্চা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সে নিজেকে সিদ্ধান্তের অংশ মনে করে।
৪. নিয়ম তৈরি করুন, শাস্তি নয় আগে থেকেই বলুন, “টিভি দেখার সময় সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, এরপর আর নয়।” এতে সে জানবে কোন কাজ কখন করতে হবে।
৫. জেদের পেছনের কারণ বুঝুন হয়ত সে ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত বা ঘুমাচ্ছে না। এমন সময় সহজেই জেদ বাড়ে। তার আবেগ ও শারীরিক অবস্থা বুঝে প্রতিক্রিয়া দিন।
৬. ভালো আচরণের প্রশংসা করুন সে শান্তভাবে খেলছে? বলুন, “তুমি আজ অনেক ভালো behaved করছো, খুব গর্ব হচ্ছে!” এতে ভালো আচরণ বাড়ে, জেদ কমে।
৭. ধৈর্য ধরে সময় দিন সে জেদ করলে কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন বা বলুন, “আমরা পরে আবার কথা বলব।” একা থাকলে সে নিজে ঠান্ডা হতে শিখে।
৮. আদর দিয়ে বোঝান বকা না দিয়ে জড়িয়ে ধরুন আর বলুন, “আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, কিন্তু এইভাবে জোরে চিৎকার করা ঠিক না।” এতে সে ভালোবাসা থেকে শিখে, ভয় থেকে নয়।
৯. খেলনার মাধ্যমে শেখান পুতুল বা গাড়ি দিয়ে নাটক করে শেখান: “এই পুতুলটা খুব জেদ করত, কিন্তু সে বুঝে গেছে কথা শুনলে কত ভালো হয়।” শিশুরা খেলতে খেলতে সবচেয়ে বেশি শিখে।
১০. নিজে ভালো উদাহরণ দিন আপনি রেগে না গিয়ে ধৈর্য ধরলে, বাচ্চাও শেখে কিভাবে শান্ত থাকতে হয়। বাচ্চা সব সময় আপনাকে অনুকরণ করে।
এই কৌশলগুলো ধীরে ধীরে প্রয়োগ করলে বাচ্চার জেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।