দক্ষিনাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন: পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এ সেমিনারের আয়োজন করেছে।

রেজাউল করিম বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুখের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ সেতুর মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল হবে। দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, শিল্পের সঙ্গে সঙ্গে টাউনশিপ গড়ে উঠবে। পদ্মা সেতু শুধু সেতু নয়, এটি আমাদের বঞ্চনার পরিসমাপ্তির উপাখ্যান। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন হচ্ছে এ অঞ্চলে রেল যোগাযোগ না থাকার বিদ্রূপের পরিসমাপ্তি।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের কারণে আমাদের জিডিপিতে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ উত্তরণ ঘটবে। আঞ্চলিক জিডিপির ২ দশমিক ৩ শতাংশ উন্নয়ন ঘটবে। যাতায়াত ব্যবস্থার সংকটের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে কেউ শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চাইতো না। এখন দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এর ফলে ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হবে। এসব দেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও বৃহত্তর বরিশালে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান সফরকালে পদ্মায় একটি সেতুর প্রয়োজনীয়তা তাদের বলেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের কারণে এটি আর আলোর মুখ দেখেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার সময় অনেক ঝড় এসেছে। বিশ্বব্যাংক টাকা বরাদ্দ না হওয়া সত্ত্বেও বলেছে এখানে দুর্নীতি হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে আর্টিকেলে দুর্নীতির অভিযোগ সাপোর্ট করে বলেছেন এটা না করাই উত্তম। কানাডার কোর্ট মামলার জাজমেন্ট দিয়ে বললো মুখরোচক কথা শোনা ছাড়া অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। অথচ সে ভিত্তিতেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করব। পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস ও সততার বিজয় গাঁথা।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে নোংরা রাজনীতি, খারাপ চর্চা এখনও চলছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতুকে অপ্রয়োজনীয় বলেছেন। তিনি বলেছেন এত টাকা ব্যয়ে এখানে সেতু করার দরকার ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এটা অসুস্থ রাজনীতির পরিচয়। সরকারের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা হতে পারে। কিন্তু ভালোকে ভালো বলবো না, এভাবে সবকিছুর বিরোধিতার প্রবণতা রাজনীতির জন্য সুখকর নয়।

পদ্মা সেতুর সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মতো ভূপেন হাজারিকা সেতু দোতলা সেতু নয়। পদ্মা সেতু যতটা প্রশস্ত ভূপেন হাজারিকা সেতু ততটা প্রশস্ত নয়। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা ও অস্থিতিশীল নদী পদ্মার বুকে সেতু নির্মাণের প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ ভূপেন হাজারিকা সেতুর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয়িত তিনগুণ অর্থ ভূপেন হাজারিকা সেতুতে ব্যয় করতে হয়নি। বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের যন্ত্রপাতি পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অবস্থা হয়েছে, ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’। যারা উন্নয়ন পরিপন্থী, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের পক্ষে না থেকে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুননের কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে হবে।

পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কথা তুলে ধরে সেমিনারের প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একটা সেতুর জন্য এত মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে, এমনটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। পদ্মা সেতু আসলে সারাদেশের মানুষের স্বপ্ন বুনন। এই মহাকাণ্ডের কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রী বলেন, বারবার বলা হয়েছে পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছেন। অথচ এখন লোকজন নতুন কথা বের করছে। আমি বলবো, তোমরা যারা পাণ্ডিত্য দেখাচ্ছো তারা অন্য জায়গায় দেখাও। আমাদের তোমরা উৎসব করতে দাও। তোমরা পার্টিতে আসো, না হয় চুপ থাকো।

ভোলা থেকে বরিশালের সঙ্গে সেতু নির্মাণের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানে সেতু টেকনিক্যাল দিক ও অর্থনৈতিকভাবেও সম্ভব। সিরিয়াসলি সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাসের স্বপ্নগাধা হলো পদ্মা সেতু। কিন্তু এটি নিয়ে নোংরা রাজনীতি, খারাপ রাজনীতি হয়েছে। ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু সবকিছু পেছনে ফেলে সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। কিন্তু অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও এতদিন দীর্ঘসময় যাতায়াতে লাগার কারণে অনেক বড় গোষ্ঠী দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে সামনে দিনে অর্থনীতির নতুন দ্বার উম্মোচিত হবে পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে। আগামীতে ভারত, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে। এটা কিন্তু পদ্মা সেতুর কারণেই হচ্ছে।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা অসুস্থ রাজনীতির পরিচয়। আমরাও রাজনীতি করি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সব কাজ ভালো সেটা বলার বা ভাবার কারণ নেই। কাজ করলে ভুল হতেই পারি। কিন্তু ভিন্ন রাজনীতি করার কারণেই ভালো কাজের সমালোচনা করা ঠিক না।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, পদ্মার ওপর সেতু হবে এটা ভাবতেও পারেনি অনেকে। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু করে এখন উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। এর একমাত্র কৃতিত্ব তাঁর। কারণ অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে এই সেতু নিয়ে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশাল এলাকার উন্নয়নের জন্য আমাদের অঞ্চলে যারা আছেন সেসব ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সেখানে পরিবেশটা খুব জরুরি। কেউ যদি আমার দখলে থাকবে এই এলাকা, অমুক এলাকা থাকবে অমুকের দখলে এমন মনোভাব থাকলে পদ্মা সেতু কিন্তু সেতুই থেকে যাবে। সময়মতো মাছ, ফল-সবজি সময়মতো ঢাকায় আসতে পারবে না। পণ্য নিয়ে আসতে পথে পথে বাধার সৃষ্টি হলে সঠিক সময়ে ঢাকায় পণ্য আসবে না। তাই আমাদের সামগ্রিক চিন্তা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা ভাবতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

জাহিদ ফারুক বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আগামী দিনে দক্ষিণাঞ্চল হবে সবচেয়ে উন্নত এলাকা। সে কারণে বরিশাল অঞ্চল নিয়ে সামগ্রিকভাবে ভাবতে হবে। ভোলা থেকে গ্যাস সরবারহ করা সম্ভব হলে বরিশালে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কুয়াকাটার ভাঙন ঠেকাতে ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা দ্রুত কাজ করতে পারবো।

অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে লোহা দিয়ে বাঁধ দিলেও বাঁধ টিকবে না। কিন্তু যেই হোক অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী তাকে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ইদানীং অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলে নদীর বাঁধ টেকানো যাবে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসব বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে সরকারের কাজ বাঁধ নির্মাণ করা। কিন্তু অবৈধভাবে বালু তোলা হলে আমাদেরই ক্ষতি, দেশের ক্ষতি। কারণ জনগণের টাকা দিয়েই সরকার উন্নয়ন কাজ করি।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা মেরিনা মীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। পদ্মা সেতু তার প্রমাণ। কিন্তু এতদিন বরিশাল অনেক কিছু দিলেও আমরা বরিশালের জন্য অনেক কিছুই করতে পারিনি। বরিশাল ভারী ও মাঝারি মানের শিল্প কম যে কারণে ঢাকায় প্রচুর মানুষ কাজ করে। এতদিনে ছোটখাটো শিল্প কারখানা গড়ে উঠলেও সামনে আরও গড়ে তুলতে হবে। একটি উন্নয়নযজ্ঞে যেসব খাতের মানুষ আছে তাদের এক হয়ে ভাবতে হবে।

মেরিনা বলেন, নদী ভাঙনের কারণে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানা করতে চাইলেও আতঙ্কে যেতে চান না। সে কারণে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ বলেন, কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি বরিশালে পরিবেশবান্ধব শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরি হয় এমন শিক্ষায় জোর দিতে হবে।

তমাল বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যাতায়াতে সময় কমে আসবে। কিন্তু বরিশালের সঙ্গে যে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন তা অনেকটা মন্থর গতিতে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে ওপারের রাস্তাঘাট অনেক প্রকল্প থেমে আছে।

বরগুনার পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পদ্মার এবারের পাশাপাশি পদ্মার ওপারের রাস্তা চারলেন করা। কারণ এখনই ওপারের মূল রাস্তা অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাই এদিকটাতে গুরুত্ব দিতে হবে।

মেয়র বলেন, রাস্তাঘাট ভালো হলে মাছসহ অন্যান্য সামগ্রী ঢাকায় পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকায় আনা সম্ভব হবে। এতে প্রান্তিক এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত হবে।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে এখনই বিসিকসহ অন্যান্য যেসব অর্থনৈতিকভাবে ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে জমি নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই সহজ শর্তে, দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসার সুযোগ দিলে ব্যবসায়ীদের আরও বেশি আগ্রহ নিয়ে বরিশালে বিনিয়োগ করবেন। বিশেষ করে চট্টগ্রামের মতো বরিশালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে জোর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা যারা এইখাতে জড়িত তারা অনেক উপকৃত হবো। আমাদের খরচও কমবে।

নিজাম উদ্দিন বলেন, জেনেছি এই শিল্পের জন্য মাত্র সাড়ে শতাংশ শর্তে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটি যাতে করে উপযুক্ত লোকজন পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

 

বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন।

এছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেমিনারে বক্তব্য দেন।

সেমিনারে ‘পদ্মা সেতু: যা সেতুর চেয়েও বড়’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক।

নির্ধারিত বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন, শিপিং রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কাজী জেবেল, এভিয়েশন এন্ড টুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাদিরা কিরন।

অনুভুতির কথা জানান, ডি আর ইউ এর সাবেক সহ সভাপতি আজমালুল হক হেলাল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ডিইউজের সাবেক দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস সোহেল, ডিআরইউ এর নারী বিষয়ক সম্পাদক তাপসি রাবেয়া আখি।

শুভেচ্ছ বক্তব্য দেন বিডিজেএ এর সহ সভাপতি এম এম বাদশাহ, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সানবির রুপল, রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব জুয়েল।

ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, বিডিজেএ এর দপ্তর সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক নাহিদ বুরহান, কার্য নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মিন্টু।

বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। তবে সেখানে ব্যবসাবান্ধব, পরিবেশসম্মত ও পরিকল্পিত শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। সবচেয়ে বেশি জরুরি পরিবেশ। সেটি নিশ্চিত করতে পারলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আগামী দিনে দক্ষিণাঞ্চল হবে দেশের সবচেয়ে উন্নত এলাকা। সেক্ষেত্রে ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাস সংযোগ দেয়া হলে শিল্প-কারখানা নির্মাণে ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হবেন।

 

 

আরো কিছু পোস্টঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *