আজ বৃহস্পতিবার, তাই হাফ ক্লাস হলো। আশি, শফি,আর রাসেল,সাপি সময় ঠিক দুপুর বেলা, যাচ্ছে বাড়ির দিকে, এমন সময় একটা শব্দ তাদের কানে ভেসে আসে। চারদিক ভরা জঙ্গল ভেবে পাচ্ছে না ওরা তিনজন কোথা থেকে আসলো এই শব্দ ? একে অপরকে প্রশ্ন করছে ওরা তিনজন। শফি বললো, আমি আমার দাদীর কাছ থেকে শুনেছি এই জঙ্গলে নাকি ভূত পেতনী থাকতো আগে। এই জঙ্গলের ভূত পেতনী গুলো নাকী কাঁদতো, গান গাইতো, নাঁচতো, তবে কী গান গাইতো, তা গ্রামের লোকজন বুঝতো না। আশি খুব চালাক বুদ্ধিমতি ছেলে। আশি বললো, আগে যেহেতু ভূত পেতনী ছিলো এখানে, মানে এই জঙ্গলে তাহলে এখনো থাকতে পারে তার বিশ্বাস নেই। আমরা তিন জন একদিন রাতে এই জঙ্গলে আসবো । আমরা আমাদের অন্য বন্ধুদেরও বলতে পারি । সাপি বললো, তাই হবে তবে সময়ের দরকার। তারা চার জন যার বাড়ী তাই গেলো।
পরেরদিন শনিবারে স্কুলে এসে অন্য বন্ধু রাসেল আপেল রাকিবকে জানালো তারা এই কথা। রাকিব একটু ভীতু। তাই সে বললো, ভাই তোরাই যাস আমি এর মধ্যে নাই। আশি বললো, আমি জানতাম তুই এই কথা গুলোই বলবি, কারণ তুই ভীতু ? এই কথা শুনে রাকিব রাগে আগুন, এবং বললো, এখানে ভয়ের বা ভীতুর সর্ম্পক কী বলতো ? তা ছাড়া আমি আসতে চাইলেও আসতে পারবো না। আমার বাবা মা আমাকে আসতে দিবেনা। বাবার মার কথার অবাধ্য আমি হতে পারবো না। কোনো দিন হয়নী হবোও না। সাপি রাকিবের ঘাড়ে হাত রেখে বললো, তুই আমাদের ভালো বন্ধু তোকে ছাড়া কী করে আমরা যাই বল ? তাছাড়া আমাদেরও তো বাবা মা আছে তাদের একদিন ম্যানেজ করে নিবো। আপেল বললো, আমরা তো জঙ্গলে যাবো একটা রহস্য জানতে, আসলে এই শব্দটা কোথা থেকে আসে। এর থেকে আমরা কিছু শিক্ষা লাভ করতে পারি। এদের মধ্যে হোসেন সবচাইতে ভালো ছাত্র, সে ইংরেজি, বাংলা, র্উদু সব লেখা পড়তে পাড়ে এবং তার মানেও বলতে পারে। তাই সবাই ঠিক করলো, হোসেন থাকবে সবার সামনে। হোসেন এই কথা শুনে বললো মনে, মনে, সর্বনাশ এবার আমি শেষ, কী যে আছে কপালে আল্লাই জানেন ? তারা সবাই ঠিক করলো শনিবারে যাবে সেই জঙ্গলে। আশি বললো, শনিবারে স্কুলে আসার সময় অবশ্যই সবাই একটা নাইট আর একটা করে ছুরি আনবে,স্কুল ব্যাগে করে। সাবধান কেউ যেন না দেখে। রাসেল বললো, ছুরি দিয়ে কী করবী ? আশি বললো, বোকা কিছুই যেন বোঝেনা, লৌহার জিনিস সাথে থাকলে, ভূত পেতনী কাছে আসতে পারে না। শফি বললো, এই কথা আবার তোকে কে বলেছে ? আশি বললো, আমার মা আমাকে বলেছে। হোসেন বললো, এসব কথা বাদ দে তো বন্ধু,আমাদের এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো এই বন সমন্ধে জানা। কবে থেকে এই বনের জন্ম। আশি বললো, বন্ধু তুই ঠিক বলেছিস তবে কার কাছ থেকে জানা যায় এই বন সমন্ধে বলতো ? আপেল বললো, কেন আমাদের মোজাম দাদাই তো সব বলতে পারবে, মোজাম দাদার বর্তমান বয়স ৯৬ বছর। সবাই বললো, বেশি সময় নাই আজ স্কুল ছুটি দিলে আমরা মোজাম দাদার কাছে যাবো। জানবো এই বন সমন্ধে। এর মধ্যে ক্লাস বসার সময় হলো। তারা ক্লাস করার জন্য ছুটলো ক্লাস রুমে।
প্রতিদিনের মতো আজও সব ক্লাস করলো তারা। স্কুল ছুটির সময় হয়েছে। দপ্তরি বেল দেওয়া মাত্রই ছুটে এলো সবাই স্কুল মাঠের মাঝে। এবং এক দল হয়ে চললো, মোজাম দাদার বাড়ীর দিকে। তারা মোজাম দাদার বাড়ীতে এসেছে। এসে একজন কে বললো মোজাম দাদা কোথায় বলতে পারেন কী ? লোকটি বললো দাদা জুমারবাড়ী বাজারে গেছেন, বাজার করতে, আসতে একটু দেরিই হবে। তবে অনেকক্ষন হলোই তো অল্প সময়ের মধ্যে ফিরে আসবেন।
তারা ঠিক করলো দাদা ফিরে না আসা পযন্ত তারা সবাই অপেক্ষা করবে। তবে আশি সবাইকে সাবধান করে দিলো দাদা যেন জানতে না পারে আমরা রাতে বনের ভিতরে যাবো। এই কথা ঐ কথা বলতেই দাদা বাজার থেকে বাড়ীতে আসেন। তারপর বারান্দায় বসেন। তখনী হাজীর হলো তারা বন্ধু কয়জন। দাদা এদের দেখে বললো, কী গো ফুলের কলিরা তোমরা এখানে কী করো ? আশি বললো দাদা আমরা আপনার কাছেই এসেছি তবে আপনী যে বললেন ফুলের কলি তার মানে বুঝলাম না ? দাদা হেসেই বললেন কেন তোমরাই তো ফুলের কলি, তোমরাই তো এই দেশের ভবিষৎ, তোমরাই আগামী দিনে সোনার বাংলা দেশ গড়ার হাতিয়ার। আপেল বললো, দাদা আপনার কথা সব বুঝলাম তবে আমাদের দেশে কিছু লোক আছে যারা গরিব অসহায় শিশুদের ক্ষুধা মেটানোর লোভ , টাকার লোভ দেখিয়ে কাজ করে নেয় বা নিচ্ছে তাদের সমন্ধে আপনী কী বলেন ? দাদা বললো, আসলে তারা জানেনা বুঝেনা, শিশুরা আমাদের দেশ ও জাতির ভবিষৎ গড়বো। তারা কিছু স্বার্থের জন্য স্বার্থপরের মত কাজ করছে। তারা দেশ ও জাতির ক্ষতি করছে।
দাদা বললো, যাই হোক, এবার বলো কেন এসেছো তোমরা আমার কাছে ? আশি বললো, দাদা আশি আমরা বন্ধুরা সবাই আপনার কাছ থেকে জানতে চাই এই বনটি সমন্ধে। এক নাম্বার প্রশ্ন কী ভাবে এই বনের জন্ম আর কেই বা এই বনে মানুষ একা একা কখনো যেতে পারেনা ? দাদা বললো, এই বনটা এখ যা আছে আমার বুদ্ধির বয়স থেকে তাই দেখছি। তবে এই বনের সৃষ্টি কি ভাবে হলো আমার দাদাও বলতে পারিনী। তবে বলতে পারবো এই বনে কেন মানুষ যেতে পারেনা। আমার জানা মতে, বা নিজে যা দেখেছি তা থেকেই বলছি, তাহলে শোন: দিন রাত কোন সময়ই এই বনে মানুষ যেতো না। কারণ, এখানে বাস করতো অনেক গায়েবী জিনিস,যেমন ভূত, পরী, জ্বিন,ইত্যাদি। তো আমি যখন ঐ.ঝ.ঈ পরিক্ষা দেই তখন ঢাকা থেকে আমাদের গ্রামে আসছে আমার মামা। ঢাকা থেকে আসতেই তার রাত হয় সাঘাটা থানায় এসে। আমি খবর পেয়ে চলে যাই, সাইকেল নিয়ে সাঘাটা। তখন এশার আযান দিয়েছে। আমি সাঘাটা থানা মসজিদে নামাজ পড়ালাম। নামাজ পড়া শেষ করে চললাম আমাদের বাড়ির দিকে,বনটির পাশ দিয়ে। এমন সময় বিকট একটা শব্দ হয়। কে যেন বলছে বাঁচাও আমাকে বাঁচাও আমাকে বন্দি করে ফেললো। দাদার সামনে রাকিব, ভয়ে কাপছে। হঠাৎ দাদার চোখ য়ায় রাকিবের দিকে। দাদা বললো, কাপছো কেন? ওরা আর তোমাকে ধরবেনা, এটা ১৯৪৭ সালের ঘটনা বলছি তোমাদের। হোসেন বললো,দাদা তারপর কী হলো ? দাদা বললো, আমি আর মামা সাইকেল থেকে নামলাম কিন্তু কোথাও শব্দ পেলাম না আর। তাছাড়া আমি সহ এই শব্দটা গ্রামের প্রায় লোকেই শুনেছি। তবে কখনো বনের ভিতরে এর সমন্ধে জানার জন্য যাইনী কেউ। দাদা বললো, এখনো এই শব্দটা মাঝে মধ্যে শোনা যায়। আশি বললো, দাদা আমরা এই শব্দটা শুনেছি দেখেই আপনার কাছে এসেছে,এই বন সমন্ধে জানার জন্য। দাদা তাদের আরো অনেক কিছু জানালো আগেকার মানুষ সমন্ধে। তারা সবাই সন্ধ্যা লাগার আগেই চলে আসলো দাদার বাড়ী থেকে। তারা সবাই চলে গেলো নিজ নিজ বাড়িতে।
দেখতে দেখতে কেটে গেলো আরো কয়দিন এলো শনিবার। ওরা সবাই ব্যাগের মধ্যে একটা একটা করে ছুরি আর নাইট এনেছে। রাকিব সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো বেশি রাত করা যাবেনা, আমাকে বাসায় ফিরতে হবে। নইলে বাবা মা আমাকে বকবে। আশি বললো ঠিক আছে তাই হবে। চারটায় স্কুল ছুটি হলো ওরা একদল হয়ে চললো বনটির দিকে। হোসেন, রাসেল, আপেল মিলে একটি মশাল তৈরী করলো। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা গড়িয়ে আসলো আঁধার । আশি বললো, কোনো মতেই ভয় পেওনা। কেননা আজ আমরা ভয়কে জয় করতে যাচ্ছি গহিন জঙ্গলে। আরো সবাই মনোযোগ সহকারে শোনো ঃ যেদিক থেকে শব্দটা আসুক না কেন আমরা সেই দিকেই ছুটবো তবে পথ ভুলোনা যেন। বাম হাতে নাইট ডান হাতে ছুরি শক্ত করে ধরে রাখবে।
নীল আকাশের তারা গুলো মিটমিট করে জ্বলচ্ছে। চারদিক থেকে পাখি,পোকা মাকরের কান্না হাসি ভেসে আসছে তাদের কানে। আরো বাঘের গর্জন,শিয়ালের ডাক চারদিক জোনাকী পোকার মিটমিট আলো আহ দেখতে খুব সুন্দর লাগছে এই কথা বললো আপেল। রাকিব হোসেনর কানে ফিস ফিস করে বলছে চল আমরা বাড়িতে পালিয়ে যাই। এই ভরা জঙ্গলে বাঘ এসে আমাদের খেয়ে ফেলবে। হোসেন রাকিব কে বললো চুপ কর কথা কথা শুনে বাঘ আসতে পারে। এই কথা শুরে রাকিব আর কথা বলে না। এশার আযান দিলো তার কিছুক্ষন পর একটা বিকট শব্দ হয়না । আপেণল বললো, আমাদের দেখে হয়তো ভূত পেতনী পালিয়েছে। আশি বললো, এখনো রাত গভীর হয়নী। এখনো এক ঘন্টা বাকি আছে। আমরা এখানে চুপচাপ বসে পড়ি। আর সবাই ডান হাতে ছুরি রাখো। এবং নাইট বন্ধ রাখো। তাই করলো সবাই। প্রায় আধা ঘন্টা পর তারা সেই বিকট শব্দটা শুনতে পায়। নাইট জ্বালিয়ে সবাই দ্বারালো। হোসেন মশালটা জ্বালিয়ে নিলো। শব্দটা কোন দিকে হয়েছে তা তারা মাথায় নিয়ে ছুটলো সেই পথের দিকে। প্রায় এক কিলো দুরে যাওয়ার পর তারা দেখতে পেলো ঘাসের ঊপড় কী যেন চিকচিক করছে। তারা অনুমান করলো মাত্র এর চাইতে পরিস্কার আলো বুঝি আর হয়না। সবাই আলোটি অনেক দুর থেকে দেখছে। রাকিব রাসেল ভয়ে দৌড় দিতে চাইলো কিন্তু আপেল হোসেন আশি ওদের যেতে দেয়না। আশি বললো, দৌড় দেসনা আমরা তো এখানে সত্যের সন্ধানে এসেছি জানতে এসেছি কেন এই বিকট শব্দ হয় বনে। এই কথা বলা মাত্রই আলোটির চারদিক দিয়ে আগুন জ্বলে উঠলো দাউ দাউ করে। সবাই আতকে উঠলো বললো, কাঁপা গলায় কে আপনী ?
কেনই বা আমাদের সাথে আপনী এমন করছেন। আমাদের পথ ছাড়–ন। আশির মুখে এমন প্রশ্ন শুনে আগুনের ভীত
র থেকে বেড় হলো একটা কক্কাল এবং হাসছে হাহাহা হিহিহি, হহহহ। আর বলছে আমাকে বাচাও আমি বাচতে চাই। হোসেন বুকে সাহস নিয়ে বললো হ্যা আমরা তোমাকে বাচাবো। তার আগে বলো, তুমি কে কেনই বা এখানে এমন অবস্থায় আছো ? কংক্কালটি বললো, আমি পরী আমাকে এই আগুনের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে। কিছু শয়তান ভূত। আপেল বললো, তোমার অপরাধ কী ? পরী বললো, আমি আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে ভূতদের র্নিযাতন এর বিরুদ্ধে রুখে দ্বাড়িয়ে ছিলাম। রাসেল বললো, কী রকম র্নিযাতন করতো ভূতরা ? পরী বললো ভূতরা আমাদের ইচ্ছা মতো ঘুরতে বা বেড়াতে দিতো না,পড়তে দিতো না শিশু পরীদের। শিশু পরীদের দিয়ে কাজ করাতো হরদম। কাজ না করলে শারিরিক র্নি
যাতন কর
তো। তাই আমি বলে ছিলাম এসব বন্ধ কর নইলে আমাদের এই এলাকা
তোরা ছাড়। এরপর ওরা ওদের কৌশলে আমাকে বন্দি করে ফেলে এই ডায়রীর ভিতরে। পরীর কথা শেষ না হতেই আশি বললো,আমরা বিভিন্ন পত্র পত্রিকার শিশুদের বিভিন্ন গল্প বিভাগে পড়েছি পরীরা সুন্দর তো আপনার চেহারা এমন কেন ? পরী বলে আসলে আমি পরী শিশুদের স্কুল গামী করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু অসাধু ভূত আমার উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কংক্কাল বানিয়ে রেখেছে এই ডায়রিতে। আমি আরো বলেছিলাম ভূতদের কে ডেকে, শিশু পরীরা ফুলের মত পবিত্র, তারা সুন্দর তাদের মতই গড়বে পৃথিবী, তবেই সম্ভাব যদি আমরা সবাই সহযোগীতা
করি। হোসেন বললো, আমরা তোমাকে মুক্ত করবো কী ভাবে। পরী বললো ভূতরা যখন আমাকে বন্দি করে তখন বলেছিলো, যদি কোন মানব এই আগুনে হাত রাখে, আগুন হয়ে যাবে পানি, আর মুক্ত হবো আমি। আশি বললো, আমরা তোমাকে মুক্ত করে দিতে পারি তবে আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ? পরী বললো, আমি উত্তর দিতে রাজি। আশি বললো, তুমি মুক্ত হলে আমাদের ক্ষতি করবেনা তো ? বা আমাদের জন্য কী করবে ? এবং তুমি কথা বলতে পারছো বিকট শব্দ করেছো কেন, বা শব্দ করার কারণ কী। পরী বললো, আমি মুক্ত হলে তোমাদের কোন ক্ষতি করবো না। তাছাড়া তাছাড়া তোমাদের মতো শিশু পরীদের জন্যই আজ আমি বন্ধি। আমি তোমাদের জন্য মন খুলে দোয়া করবো। আর একটা কথা তোমাদের বলাই হয়নী। আপেল বললো, কী কথা ? পরী বললো, ভূতরা আমার মন্ত্রের যন্ত্রনিয়ে গেছে। আমার কোন শক্তি নেই, তবে সাধারণ পরীদের মত চলতে পারবো। আমি বিকট শব্দ এই জন্য করতাম একজন সাহসী মানবের জন্য যে আমাকে মুক্ত করবে। আজ একশত বছর হয়ে গেলো কেউ আসেনা আজ তোমরা এলে এইটা আমার বিকট শব্দ করার সফলতা। রাকিব আর ভয় পায়না রাকিব বললো, আমাদের সাথে থাকবে তুমি ? পরী বললো, তা সম্ভাব না কেননা আমাকে আমার শক্তির খোজে যেতে হবে, আমাদের অচিন দেশে। আশি মনোযোগ সহকারে আবারো জেনে নিলো কী ভাবে তাকে মুক্ত করবে তারা, পরীকে। পরীকে মুক্ত করে দেয় ওরা। পরী ওদের দিয়ে যায় রহস্যময় ডায়রী। পরীর সাথে তারা আসে বাড়ি যাওয়ার রাস্থায়। যার বাড়ি তাই যায়। ডায়রীটা রাখে সবাই মিলে হোসেনের কাছে। পরেরদিন সকালে তারা সবাই মিলে ডায়রীটা আনে স্কুলে। স্যার ম্যাডাম খুশি হয়ে উপাধি দেন, এরা সবাই সাহসী ছেলে। অবাক করার বিষয় হলো যে রহস্যময় ভূতের ডায়রীতে শিশুদের নিয়ে লেখা বেশ কয়টি কবিতা একটা কবিতা এরকম ঃ
শিশুরা সত্যি ফুল কলি
ওরা দেখতে তেমন, যেমন পরী
এসো আমরা শিশু শ্রম বন্ধ করি
সুখি সুন্দর দেশ গড়ি।
ভূতটি যে চলে গেলো আর কোনদিন ফিরে এলো না। আতক্কের হাত থেকে বাঁচলো গ্রামবাসী। এই বনে সবাই যাওয়া শুরু করলো। বনের কাঠ মৌমাছির মধু ইত্যাদি এক সময় জীবন নিভরশীল হয় গ্রামবাসির।
লেখক
মো ঃ শামীম মিয়া।
পিতা মো ঃ সৈয়দজ্জামান।
মাতা মোছা ঃ ঝরনা বেগম।
গ্রাম , আমদির পাড়া । ডাক : জুমারবাড়ী।
থানা : সাঘাটা । জেলা: গাইবান্ধা।