একটি দৃশ্য কল্পনা করুনঃ
সাগরের নীল জলরাশিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে এক ঝাঁক মাছ। খাবারের উদ্দেশে হটাৎ এক অতর্কিত আক্রমণ করে বসল এক হাঙ্গর আর মাছগুলি জীবন বাচাতে পানির উপর লাফিয়ে উঠল আর উড়ে উড়ে অনেক দূরে চলে গেল শিকারি হাঙ্গরের নাগালের বাহিরে আর বেঁচে গেল তাদের জীবন। কি মনে হচ্ছে কোন এনিমেশন ছবির দৃশ্য! না বাস্তবেও এমন কিছু মাছ আছে আমাদের এই পৃথিবীতে যাদের উড়ন্ত মাছ বা ফ্লাইং ফিস বলা হয়। যদিও এদের উড়া পাখির মত নয় অনেকটা লাফিয়ে লাফিয়ে চলার মত।
এই উড়ন্ত-মাছ সাধু-পানিতে পাওয়া যায় না এদের সব সদস্যই সাগরের প্রাণী। ৭ থেকে ৯ টা গণ বা Genera এর অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৬৪ প্রজাতি এই পৃথিবীতে আছে। আমাদের বাংলাদেশেও এই উড়ন্ত-মাছের দুটি গণ বা Genera এর তিনটি প্রজাতি আছে। তারা হল Cypselurus comatus, Cypselurus poecilopterus, Exocoetus volitans
শ্রেণিবিন্যাসঃ
জগত (Kingdom): এনিমেলিয়া (Animalia)
পর্ব (Phylum): কর্ডাটা (Chordata)
শ্রেণী (Class): একটিনোপ্টেরাইজি (Actinopterygii)
বর্গ (Order): বেলোনিফরমিস (Beloniformis)
গোত্র (Family): এক্সোকইটিডেই (Exocoetidae)
এদের উড়ার রহস্য কিঃ
এই মাছের বক্ষ-পাখনা থাকে অনেক বড় যা ডানা বা পাখার মত কাজ করে পানির উপরে উড়ে বা লাফিয়ে লাফিয়ে চলতে। কোন কোন প্রজাতির শ্রেণী-পাখনা বা পায়ু-পাখনাও অনেক বড় হয়। এদের লেজ বা পুচ্ছ পাখনাও অনেক বড় ও শক্ত হত যা দিয়ে পানিতে আঘাত করে উড়ার গতিশক্তি লাভ করে।
এই মাছটি খেতে অনেক সুস্বাদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সফরেই আমার এই অদ্ভুত মাছটি দেখার ও খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়ামেও এই মাছ (Exocoetus volitans) বোতলে সংরক্ষণ অরা আছে।
উড়ুক্কু মাছের অজানা তথ্য:
(১) কোন কোন উড়ুক্কু মাছের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি বা ৪৩ মাইলেরও বেশী হয়ে থাকে।
(২) পানি স্পর্শ না করে বাতাসে এরা প্রায় ৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত উড়ে চলতে পারে।
(৩) কোন কোন উড়ুক্কু মাছ লাফিয়ে উড়ে উড়ে প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
(৪) এরা উড়তে আরে সাগরের পানির ৬ মিটার উপর পর্যন্ত এমনি তাদের উড়ে জাহাজের ডেকে আসতে দেখা যায়।
এদের গুরুত্ব:
বাণিজ্যিক ভাবে জাপান, ভিয়েতনাম, বার্বাডোস, ইন্ডিয়াতেও এই মাছটি প্রচুর ধরা হয়। বিপুল পরিমাণ উড়ুক্কু মাছের কারণে আমেরিকা মহাদেশের উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপের দেশ বার্বাডোসের নামই ছিল উড়ুক্কু ‘মাছের ভূমি’ বা ‘ল্যান্ড অব ফ্লাইং ফিস’, এই উড়ুক্কু মাছ এই দেশের জাতীয় মাছও বটে।
উড়ুক্কু মাছ বা উড়ন্ত মাছঃ সাগরের এক বিস্ময়কর প্রাণী
একটি দৃশ্য কল্পনা করুনঃ
সাগরের নীল জলরাশিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে এক ঝাঁক মাছ। খাবারের উদ্দেশে হটাৎ এক অতর্কিত আক্রমণ করে বসল এক হাঙ্গর আর মাছগুলি জীবন বাচাতে পানির উপর লাফিয়ে উঠল আর উড়ে উড়ে অনেক দূরে চলে গেল শিকারি হাঙ্গরের নাগালের বাহিরে আর বেঁচে গেল তাদের জীবন। কি মনে হচ্ছে কোন এনিমেশন ছবির দৃশ্য! না বাস্তবেও এমন কিছু মাছ আছে আমাদের এই পৃথিবীতে যাদের উড়ন্ত মাছ বা ফ্লাইং ফিস বলা হয়। যদিও এদের উড়া পাখির মত নয় অনেকটা লাফিয়ে লাফিয়ে চলার মত।
এই উড়ন্ত-মাছ সাধু-পানিতে পাওয়া যায় না এদের সব সদস্যই সাগরের প্রাণী। ৭ থেকে ৯ টা গণ বা Genera এর অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৬৪ প্রজাতি এই পৃথিবীতে আছে। আমাদের বাংলাদেশেও এই উড়ন্ত-মাছের দুটি গণ বা Genera এর তিনটি প্রজাতি আছে। তারা হল Cypselurus comatus, Cypselurus poecilopterus, Exocoetus volitans
শ্রেণিবিন্যাসঃ
জগত (Kingdom): এনিমেলিয়া (Animalia)
পর্ব (Phylum): কর্ডাটা (Chordata)
শ্রেণী (Class): একটিনোপ্টেরাইজি (Actinopterygii)
বর্গ (Order): বেলোনিফরমিস (Beloniformis)
গোত্র (Family): এক্সোকইটিডেই (Exocoetidae)
এদের উড়ার রহস্য কিঃ
এই মাছের বক্ষ-পাখনা থাকে অনেক বড় যা ডানা বা পাখার মত কাজ করে পানির উপরে উড়ে বা লাফিয়ে লাফিয়ে চলতে। কোন কোন প্রজাতির শ্রেণী-পাখনা বা পায়ু-পাখনাও অনেক বড় হয়। এদের লেজ বা পুচ্ছ পাখনাও অনেক বড় ও শক্ত হত যা দিয়ে পানিতে আঘাত করে উড়ার গতিশক্তি লাভ করে।
এই মাছটি খেতে অনেক সুস্বাদু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রদের শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয় সেই সফরেই আমার এই অদ্ভুত মাছটি দেখার ও খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মিউজিয়ামেও এই মাছ (Exocoetus volitans) বোতলে সংরক্ষণ অরা আছে।
উড়ুক্কু মাছের অজানা তথ্য:
(১) কোন কোন উড়ুক্কু মাছের গতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি বা ৪৩ মাইলেরও বেশী হয়ে থাকে।
(২) পানি স্পর্শ না করে বাতাসে এরা প্রায় ৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত উড়ে চলতে পারে।
(৩) কোন কোন উড়ুক্কু মাছ লাফিয়ে উড়ে উড়ে প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
(৪) এরা উড়তে আরে সাগরের পানির ৬ মিটার উপর পর্যন্ত এমনি তাদের উড়ে জাহাজের ডেকে আসতে দেখা যায়।
এদের গুরুত্ব:
বাণিজ্যিক ভাবে জাপান, ভিয়েতনাম, বার্বাডোস, ইন্ডিয়াতেও এই মাছটি প্রচুর ধরা হয়। বিপুল পরিমাণ উড়ুক্কু মাছের কারণে আমেরিকা মহাদেশের উত্তর অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপের দেশ বার্বাডোসের নামই ছিল উড়ুক্কু ‘মাছের ভূমি’ বা ‘ল্যান্ড অব ফ্লাইং ফিস’, এই উড়ুক্কু মাছ এই দেশের জাতীয় মাছও বটে।
লেখকঃ মাইন রানা
তথ্যসূত্র ও ছবিঃ উচ্চমাধ্যমিক জীববিজ্ঞান (গাজী আসমত ও গাজী আজমল), ইন্টারনেট, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা এন্ড ফনা অব বাংলাদেশ (ভলিউম ২৪)।