হ্যান্ড–ফুট–মাউথ রোগের লক্ষ্মণ কী, কাদের হয়
চিকিৎসকেরা বলছেন, সাধারণত এক বা দেড় বছর বয়স থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের এ রোগ হয়। তবে তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের এ রোগ বেশি হয়।
কক্সস্যাকিভাইরাস নামে একটি ভাইরাসের প্রভাবে এ অসুখ হয়। প্রাথমিকভাবে জ্বর হয়। আবার অনেকের জ্বর নাও হতে পারে। আবার কারও জ্বার বাড়তেও পারে। এরপর হাতে, পায়ের পাতায়, কনুই ও হাঁটুতে ফুসকুড়ি হয়। অনেক শিশুর মুখের ভেতরেও ফুসকুড়ি হয়। এগুলো দেখতে চিকেন পক্সের মতো অনেকটা। দেখলে মনে হয়, এসব ফুসকুড়ির মধ্যে ঘোলা পানি জমেছে।
জ্যেষ্ঠ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুখ গহ্বরে হলেই শিশুদের বেশি কষ্ট হয়। এ সময়টাতে শিশুদের খেতে অসুবিধা হয়। খাবার গিলতে ব্যথা লাগে।’
কোন সময় এ রোগ বেশি হয়, সুরক্ষার উপায় কী
সাধারণত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এ রোগ হয়। বর্ষা মৌসুমেই এর প্রকোপ বাড়ে বলে জানান চিকিৎসকেরা। পাঁচ বছর আগে এর বেশি বিস্তার ঘটেছিল বলে স্মরণ করতে পারেন অধ্যাপক সহিদুল্লা। এরপর এ বছর বেশি হার ঘটছে, বিশেষ করে রাজধানীতে। তবে দেশের অন্য স্থানেও এটি ছড়ানোর আশঙ্কা আছে বলে মনে করেন তিনি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, হ্যান্ড–ফুট–মাউথ ছোঁয়াচে অসুখ। কোনো শিশু এতে আক্রান্ত হলে তাকে অবশ্যই স্কুলে দেওয়া যাবে না। পরিবারের মধ্যেও একধরনের আইসোলেশনে তাকে রাখতে হবে।
শিশুবিশেষজ্ঞ আবিদ হোসেন মোল্লা বলছিলেন, এই ছোঁয়াচে রোগ সাধারণত হাঁচি–কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। এ ছাড়া শরীরে হওয়া ফুসকুড়িগুলোর ফেটে গেলে সেখানকার রস থেকে ছড়াতে পারে। বাড়ির অন্য শিশুরা যাতে আক্রান্ত না হতে পারে, সে জন্য অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
শিশুর চিকিৎসা কী হবে
চিকিৎসকেরা বলছেন, ভাইরাসবাহিত এ অসুখের কোনো টিকা নেই। আসলে এর কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধও নেই। অধ্যাপক সহিদুল্লা বলেন, হ্যান্ড–ফুট–মাউথে আক্রান্তদের জ্বর হলে সাধারণ জ্বরের ওষুধ দিতে হবে। আর অ্যান্টিহিস্টামিন দিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।