প্রতিবেদক: মাহবুব সৈকত

শহর কিম্বা নগরের বসবাস করেন তারা জানেন, লঞ্চ -বাস-রেল ষ্টেশনে অথবা রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অসংখ্য শিশু- কিশোর এবং কিশোরির বেড়ে উঠছে। যাদের মধ্যে বড় একটা অংশ ই যানে না তার জন্ম পরিচয়, অর্থাৎ পৃথিবীতে তার কেউ আছে কি নেই তা জানা নেই তাদের। আবার ক্ষুদ্র একটা অংশের বাবা – কিম্বা মা থাকলেও না থাকার মতই।

একবার ভাবুনতো, কি করে তাহলে তাদের ভরন পোষন চলে, আর ভবিষ্যতই বা কি ? বিশেষ করে পথে বেড়ে ওঠা কণ্যা শিশুদের নিয়ে ভেবেছেন কি কখনো ? আজকে শুনাবো তাদের কষ্টের গল্প গুলো।

পথ শিশুর সংখ্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট নেই কোন তথ্য। কেউ বলেন ২০ লাখ। আবার কেউ বলেন ২৫ লাখ। তথ্য বলছে কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকাতে আছে কমপক্ষে ৬-৭ লাখ। এদের মধ্যে ৫০ হাজার শিশু আক্ষরিক অর্থেই বসবাস করে রাস্তার ধারে কিংবা কোন অস্থ্যকর পরিবেশে।
কাওরান বাজারসহ পাইকারী বিভিন্ন বাজার, লঞ্চ ঘাট, বাস কিম্বা রেল ষ্টেশনকে কেন্দ্র করেই বেড়ে উঠছে তারা।
পথ কলি সোনা মনিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এদের মধ্যে অনেকেই যানে না কোথায় বাড়ি, কে তার বাবা কিম্বা মা। আবার কেউ কেউ এতটা ছোট বয়সেই ঘর ছেড়েছে কিম্বা হারিয়ে গেছে যে এখন আর কিছুই মনে নেই।
আর যারা বাড়ি ঘরের ঠিকানা বলতে পারে তাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এদের বড় একটি অংশ আসে দরিদ্র ‘ব্রোকেন ফ্যামিলি’ থেকে, আবার বাবা-মায়ের বহু বিবাহ, নদী ভাঙন, ভূমিহীনতা, জলবায়ুর পরিবর্তন ও শিশু- কিশোরদের ঘর ছাড়ার কারন।
বেসরকারী একটি গবেষণা সংস্থার তথ্য মতে, এদের মধ্যে প্রায় শতাংশ শিশু কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকে সর্বোচ্চ ছয় মাস । আর ২৯ শতাংশ শিশু স্থান পরিবর্তন করে আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার কারনে।

ঢাকা রেলওয়ে ষ্টেশন । কমলাপুর ষ্টেশন নামেই অধিক প্রসিদ্ধ। এখানে, পুরাতনদের সাথে প্রায় প্রতি নিয়তই দেখা মেলে নতুন মুখের। কমলাপুরে থাকা শিশুরা যেখানেই যার না কেন বড় অংশ একটা সময় আবার এখানেই ফিরে আসে। অর্থাৎ এই ষ্টেশনকেই তারা তাদের বাড়ি ঘর মনে করে। নবাহত আগন্তকে দেখেই একটা সময় এগিয়ে আসে অন্য পথ শিশুরা। অণ্যের কাছে হাত পেতে কিম্বা বোঝা বয়ে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে খাবার যা জোটে তাই ভাগ করে খায় তারা।
ভক্সপপ:
বয়স ভেদে এদের রয়েছে আলাদা গ্রæপ। বড়রা যাতে ছোটদের উপর খুব বেশি খবরদাবী করতে না পারে সে জন্য ছোটরাও এক জোট হয়ে ই থাকে। এ যেন নিজেদের রাজ্যে নিজেরাই রাজা। সময় এখানে বেড়ে ওঠা নতুন আর পুরাতনেরা মিলে গড়ে ওঠে নিজস্ব জগৎ। যদিও সে জগতে নেউ আলোর কোন অস্তিত্ব। সে জগতের জন্য রয়েছে নিজস্ব বিধান, যা সাধারনত লংঘন করে না কেই।

তবে একটা সময় পেটের তাগিদে কিম্বা প্ররচোনায় বড়দের হাতের পুতুল হয়ে পরে এখানকার অভিভাবকহীন শিশুরা। প্রথমে তাদের ফুট ফরমায়েশ খাটে খাবারের বিনিময়, একটা সময় ড্যান্ডি, সিকাটের, গাজাসহ অন্য মাদকও অভ্যস্ত হয় ছোটরাও। যখন নেশায় আসক্ত হয়ে পরে তখন নেশার টাকার যোগারে বড়দের কথা মতো নিজেরাই ইয়াবাসহ অন্য মাদক বহনে লেগে যায় তারা।

এমনকি চুড়ি, ছিনতাই সহ ছোট বড় অপরাধ কর্মের সাথেও জরিয়ে পরে, একটু বড় হয়ে ধর্ষনসহ পরবর্তীতে এদের মধ্যে ভংয়কর অপরাধী হয়ে ওঠার গল্পও কম নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমাজ বিজ্ঞানী  সালমা আক্তার জানান, গবেষনায় দেখা গেছে এসব ছিন্নমুল শিশুরা এক সময় আসক্ত হয়ে পরে মাদকে। এবং ক্যারিয়ার হিসেবেও কাজ করে। এ ছাড়া মাদকাসক্ত হয়ে পরায় টাকার জোগারে ছোট থেকে বড় সব ধেরনের অপরাধেই তারা জরিয়ে পরে।

পথ শিশুদের মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ ভাগই মেয়ে । তারা কতটা বেশি ঝুঁকির মধ্যে যে থাকে তা হয়তো আপনারা আন্দাজ করতেও পারছেন না। জীবিকার জন্য তারা এমন পথ নেই যা তারা বেছে নেয় না কিম্বা নিতে বাধ্য হয় না।  কণ্যা পথ শিশুদের মধ্যে যাদের জন্ম পিরচয়ই নেই, অর্থাৎ অবাঞ্চিত গর্ব ধারনের কারনে, জন্মের পরেই যাদের ফেলে চলে যায় গর্ভধারীনি। সুনিদৃষ্ট লক্ষ নিয়ে এই শিশুদের বড় করারও রয়েছে কোন কোন চক্র। যারা নবজাতক অবস্থাতেই কোন নারীর কাছে ভারা দেয় তাদের। ভারা নিয়ে সেই নারী সন্তানটি তার বলে রাস্তায় রাস্তায় তাকে দেখিয়ে ভিক্ষা করে। গবেষনায় দেখা গেছে শিশুদের অসুস্থ্য করে রাখতে কিম্বা সব সময় ঘুম পরিয়ে রাখতে তাকে চেতনা নাশক কোন ঔষধ খাওয়ায় , যা দীর্ঘ  স্থায়ী ভাবে শিশুটিকে জীবনি শক্তিও নষ্ট করে দেয়। আবার কোন কোন চক্র অঙ্গ বিকল্ঙ্গও করে দেয়। কণ্যা শিশু হলে  শৈশব পর না হতেই  শিশুটিকে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে। তাকে যাতে বড় সর দেখায় সে জন্য খাওয়ায় মোটা তাজা করন ট্যাবলেট। যার ফলে তারা পরবর্তীতে মারত্বক অসুস্থ্য হয়ে পরে। এবং এ অবস্থায় তাদের যৌন পেশায় নামিয়ে দেয়।

সরকারী প্রতিষ্ঠান সমাজকল্যান অধিদপ্তরের গবেষণার তথ্য বলছে, মেয়ে পথশিশুদের মধ্যে ৪৬ ভাগই যৌন এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার৷ যদিও বেসরকারী সংস্থাগুলোর তথ্য মতে এই সংখ্যা প্রায় শতভাগ।
ষ্টেশনে কিম্বা ফুটপাথে বেড়ে ওঠা কণ্যা শিশুদের মধ্যে একটা সংখ্যা রয়েছে যাদের ছোট বেলা থেকে বড় করা কথিত বাবা – কিম্বা মায়েরাই নামিয়ে দেয় যৌন পেশায়।
একটু বড় হবার পরে বুঝতে পারে কথিত বাবা- মা তার আপন কেউ নয়, তখন তাদের আর পাত্তা দেয়না তারা। নিজেদের উপার্যনে নিজেরাই চলে ইচ্ছে মত। নেশার টাকা আর খাবার যোগারে অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারে মেতে ওঠে তারা।
যদিও ষ্টেশনের কিশোরীদের খদ্দের বেশির ভাগ সময়ই ষ্টেশনের ছেলেরাই। ষ্টেশনের পাশের ঝোপ ঝার, অন্ধকার ছাদ কিম্বা পার্শবর্তী কোন অল্প টাকা ভারার আবাসিক হোটেলে গিয়েও চলে এ সব অসামাজিক কাজ।
হারিয়ে গিয়ে ঠিকানা বলতে না পারা কিম্বা বাড়ি থেকে রাগ করে পথে কিম্বা ষ্টেশনে আশ্রয় নেয় কিশোরীরাও এক সময় সংঘবদ্ধ গ্রুপের দ্বারা প্রথমে ধর্ষিত হয়ে এবং পরে অভ্যস্ত হয়ে পরে যৌন কাজে। েএ জন্য প্রথমেই তাকে নেশায় আসক্ত করা হয়।
এমন তথ্য প্রতিবেদকে একাধিক ভুক্তভোগীই তুলে ধরেছে।
ষ্টেশনে এবং পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করা এবং আশ্রয় দেয়া প্রতিষ্ঠান ছিন্নমূল উন্নয়ন সোসাইটিতে আশ্রয় পাওয়া হতভাগ্য কয়েক জন মেয়ের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে ছিলো   সৎ মায়ের অত্যাচারের হাত থেকে বাচতে, কিন্তু বাচতে আর পরলো কই। সেখানে এসে তাদেরও পরিনতি হয়েছে অন্যদের মতই। এখন মাদকে আসক্ত হয়ে এবং অনিয়ন্ত্রিন যৌনাচারে এতটাই অসুস্থ্য যে ঠিক ভাবে কথাও বলতে পারছেনা। দেহ বিক্রি করেই তারা যোগাতো তাদের দুমুঠো খাবার। এক দিনে ৫/৬ জনকেও মন রঞ্জন করতে হতো তাদের। এ জন্য নিতো মাদক। খদ্দের যথা রিতি নিন্ম আয়ের ।
ষ্টেশন এলাকায় একটা রেওয়াজ প্রচলিত আছে, কিশোরীদের প্রায় প্রত্যেকেরই রয়েছে কথিত স্বামী। যদিও এটা অলিখিত। নিজেদের মধ্যে একটু ভালো বোঝা পরা হলেই স্বামী- স্ত্রী পরিচয় হয়ে যায়। যদিও পেশার ক্ষেত্রে নিজেরা স্বাধীন।  ষ্টেশনগুলোতেএ ধরনের কিশোরী এবং তরুনীদের সাথে চাইলেই কথা বলা যায়না, তাদের সব সময় পাহারায় রাখে ষ্টেশনেরই তরুন – যুবকরা, যার কথিত স্বামী। নিরাপত্বার বিনিময় দেয় তাদের মনরজ্ঞন করে।

বিভিন্ন স্টশনের আসসে পাশে তাকালেই দেখা মিলবে এমন চিত্রের। আইন সৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা থাকলে কিছুটা দুরে অবস্থান করে তারা। দিনের বেলা কম দেখা গেলেও সন্ধ্য নামার সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাদের আগমন। নিন্ম শ্রেনীর কেই অল্প টাকায় যৌবিক চাহিদা মেটাতে আসে তাদের কাছে আর তারা যায় রোজগারের জন্য।
ষ্টেশন এলাকায় আরও একটা কথা প্রচলিত আছে, এক বেলা খাবার দিলেই সে হয়ে যায় বর। অর্থাৎ দু মুঠো খাবারের বিনিময় বিকিয়ে দেয় নিজেকে।

আগেই বলেছি পথে অথবা কোন ষ্টেশনে বেড়ে ওঠা কণ্যা শিশূদের আশ্রয় দেয়া কথিত বাবা- মা শৈশব পার হবার আগেই তাদের শরীরীক ভাবে বড় দেখানোর জন্য খাওয়ান স্বাস্থের জন্য মারাত্বক ঝুকির কোন মোটা তাজা করন ঔষুধ। এতে মারাত্ত¡ক অসুস্থ্য হয়ে পরে তারা। আবার অবাধ এবং অনিয়ন্ত্রিন জীবনাচারের কারনে পথে থাকা কিম্বা ষ্টেশনের অনেক কিশোরী এবং তরুনীই হয়ে পরে অসুস্থ্য, এমন কি কেউ কেউ অবাঞ্চিত গর্ভ ধারনও করে। তখন তাদের পাশে কিন্তু আর থাকেনা কথিত স্বামী।
আবার খাবার কিম্বা নেশাট টাকা যোগারে ষ্টেশনের কিশোরী কিম্বা তরুনীদের মধ্যে যারা অনিয়ন্ত্রিক যৌনাচারে লিপ্ত হতে গ্রহন করে কথিত এনার্জি টনিক। আর এতে যা হবার তাই হয়, মারাত্ত¡ক অসুস্থ্য গয়ে পরে তারা। তখন দেখ ভালের কেউ থাকেনা।
এ ধরনের কিশোরীদের রাস্তা কিম্বা ষ্টেশন এলঅকা থেকে নিয়ে সুস্থ্য করে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য যে দু একটি সংগঠন কাজ করে,
সেখানে গিয়ে দেখা যায় কিছু দিনে আগে অসুস্থ্য হয়ে এখানে আশ্রয় নেয়া  কিশোরীদের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। তবে তারা আর ফিরে যেতে চায়না সে ষ্টেশনে। এখান থেকে হাতের কাজ শিখে নিজের পরয়ে গাড়াতে চায় সে।
দীর্ঘ দিন এই প্রতিষ্ঠানটির সেবায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে আর এক কিশোরীও।
আপন, ছিন্নমুল উন্নয়ন সোইটি, সাজেদা ফাউন্ডেশন, হিড বাংলাদেশ, আহসানিয়া মিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারী কেন্দ্রে  আশ্রয় পেয়েছে আরো অনেক পথ শিশু। যারা এখন স্বপ্ন দেখছে নিজেদের গড়ার। নিশ্চিত অন্ধকার জীবন থেকে ভরসার যায়গায় অশ্রয় পেয়ে আবেক আপ্লুত এখানকার  শিশুরাও
তবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমশিত খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারী সহায়তা ন্তেই বল্লেই চলে, তারা চান হৃদয়বানদের সহায়তা।
স্বপ্ল হলেও এ ধরনের শিশুদের জন্য রয়েছে সরকারী কেন্দ্র। তবে সেখানে কাজ করা কর্মীদের দৃষ্টিভংগি আর নানাবিধ জটিলতায় সে সব প্রতিষ্ঠান গুলোতে আশ্রয় নিতে চাননা পথ শিশুরা। আবার তাদের নেই প্রচারও। গনমাধ্যম এগিয়ে গেলেও রাঘঢাকের শেষ নেই। গনমাধ্যমের পরিদর্শন অবারিত নয় সে সব কেন্দ্রে। পরিচয় ছাড়া আজিমপুরসহ আরো একটি কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে অব্যবস্থাপনায় ঠাসা। খুব একটা যত্ন নেই অবাঞ্চিত শিশুদের। যাইচ্ছে ব্যবহার আশ্রিতদের সাথে । যদিও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করেও সারা পাওয়া যায়নি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের।


রাজধানীতে হিড বাংলাদেশ, আহসানিয়া মিশনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সেবা দেয় অবাঞ্চিত গর্ভধারনকারীদের।
ষ্টেশন, কিম্বা পথের পাশের বেড়ে ওঠা অসহায় মেয়েরা ছাড়াও বিভিন্ন ভাবে ধর্ষনের শিকার হয়ে গর্ভধানর করা ভুক্তভুগিরাও আসে কেন্দ্র গুলোতে। সাধ্যানুযায়ী তাদের সেবা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। নিজের পায়ে দাড়াতে এসময় কারীগড়ি শিক্ষা দেয়ারও চেষ্টা করে তারা। যদিও যত সামান্য। নিদৃষ্ট সময় পরে সন্তান পৃথীবিতে আসলে সুস্থ্য হবার পরে কেন্দ্র ছাড়তে হয় তাদের। এদের কেউ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জীবিকা উপার্জন করে। কেই আবার কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয় অন্ধকার জগতেই ফিরতে।
অন্য দিকে তাদের নবজাতককে রেখে যায় সেই কেন্দ্রগুলোতেই। নবজাতক থাকা সাপেক্ষে আইন মেনে কেন্দ্রগুলো, দতত্বক দেয় আগ্রহি সামর্থ বান কোন পরিবারের কাছে। হারিয়ে যাওয়া শিশুদেরও আশ্রয় দেয় কোন কোন প্রতিষ্ঠান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই জনগোষ্টিকেও আনতে হবে মূল ধরায়। এ জন্য আন্তরীক হতে হবে সংশ্ষ্টিদের । অনেক অসাধ্যকে জয় করে, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে , তখন সংশ্লিস্টরা আন্তরীক হলে পথের পাশে কিম্বা ষ্টেশনে থাকা এই ক্ষদ্র জনগোষ্টিকে আলোর সন্ধান দেয়া খুব একটা কঠিন নয় বলে মনে করি আমরাও। স্যালুট তাদের যারা সিমিত সামর্থ দিয়েও পাশে দাড়াচ্ছে অসহায় ছিন্নমূলদের।

(পথ শিশু, কিশোর, কিশোরী এবং তরুনীদের গল্পগুলো দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন)

আরো কিছু পোস্টঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *