ডা. এহসানুল কবীর দেশের স্বনাম ধন্য একজন লেখক। মুলতঃ শিশু – কিশোরদের অঙ্গনেই তার বিচরন বেশি । তাই শিশু সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতিও পেয়েছেন। পেশায় একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ। থাকেন বিভাগীয় শহর খুলনাতে।লেখিলেখা শুরু ছোটবেলা থেকেই । ছাত্র জীবন থেকেই জরীত বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে । তার হাত ধরে তৈরি হয়েছে অনেক প্রতিভাবান মানুষ।
এ বছর তিনি হজ্জব্রত পালন করেছেন । সৌদি আরব অবস্থানের সময় ছুটে গিয়েছেন প্রিয় নবীর স্মৃতি বিজরিত পবিত্র যায়গা গুলোতে। যা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হবে পাঠকদের জন্য ।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক।
২০ আগস্ট পবিত্র হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এর পর হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা পর্যায়ক্রমে শেষ করি।
নবী করীম (সা:)- ছোটবেলার স্মৃতি বিজড়িত জায়গা
রাসুলে পাক (সা:)-এর দুধমাতা হজরত হালিমা (রা:)- এর এই ঘরটি এখন পাথর দিয়ে আছে ঘেরা রয়েছে।
নবী করীম (সা:) এর দুধমাতা হজরত হালিমা (রা:) বাড়ির প্রাংগন যেখানে তিনি ছাগল চরাতেন।
রাসুলুল্লাহ (সা:)-এর শিশুকালে ফেরেশতারা তাঁর সিনা চাক করেছিলেন বলে খ্যাত আছে এই জায়গাটিতে।
“হেরা হতে হেলে দুলে”
“হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ঐ কে আসে হায় সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা খুলে খুলে যায়, সে যে আমার কামলীওয়ালা! কামলীওয়ালা!!”
এই সেই হেরা পাহাড় যেখান থেকে হেরার রশ্নী তথা ইসলামের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বময়।
মক্কা থেকে ১০০কিমি দূরে ঐতিহাসিক পবিত্র নগরী তায়েফ ।
“তায়েফের কাফেরেরা
চিনলো না সে আলো
দুষ্ট ছেলেদের পিছু দিলো লেলিয়ে।
পাথরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে
সারা শরীর থেকে রক্ত ঝরে।
হে রাসুল (সা:)!
তোমাকে ভুলি আমি কেমন করে?”
“পাথরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে
সারা শরীর থেকে রক্ত ঝরে।
হে রাসুল!
তোমাকে ভুলি আমি কেমন করে?”
তায়েফের এই সেই ঐতিহাসিক জায়গা যেখানে প্রিয় রাসুল (সা:)কে কাফেরেরা পাথরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছিল।