ফাহিয়ান হামিমঃ
সিসিএন প্রতিবেদক
রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যবহারে নিশেধাজ্ঞা এবং নির্বাচনী প্রচারনায় শিশুদের ব্যবহার না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত থাকলেও মানছেন না প্রার্থীরা। এর আগে হরতাল-অবরোধ সহ সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শিশুদের ব্যবহার ছিলো চোখে পড়ার মতো, এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও এর ব্যাতিক্রম হয় নি। একাধিক মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে প্ল্যাকার্ড ও লিফলেট বিতরন করতে দেখাগেছে শিশুদের। মিছিলেও শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি শিশুদের মাধ্যমে তাদের বাবা-মাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা ও চলছে।
সর্বশেষ পাশ হওয়া ‘শিশু আাইন-২০১৩’ অনুসারে শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গরীব ও ছিন্নমূল শিশুদের এসব কজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এতে শিশুদের মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যে কারনে এসব শিশুরা পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে এবং নানা অপরাধে লিপ্ত হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় ‘শিশু নীতি-২০১১’ তে স্পষ্ট করে বলা আছে শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার করা যবে না, তাদেরকে এ ধরনের কাজে প্রলুব্ধ বা বাধ্য করা যাবে না।
২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপীর নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, তারা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে শিশুদের ব্যাবহার করবে না। অথচ প্রধান দুটি দলই পরবর্তী সময়ে ওই প্রতিশ্রুতি রাখে নি। দুটি দলের রাজনৈতিক মানবন্ধন, সমাবেশ, হরতালের আগে-পরে পিকেটিংয়ে শিশুদের ব্যবহার হচ্ছে। সম্প্রতী জামায়াতে ইসলামী তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতায়ও শিশুদের ব্যবহার করছে।
বিশিষ্ট জনরা মনে করেন, শিশুদের রাজনীতিতে ব্যবহারের ফলে শিশুর আচরনের এক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় যা তাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।