বেদে সম্প্রদায়ের গল্প !

মাহবুব সৈকত::::

এক সময় দেশের প্রায় প্রত্যেক নদীর তীরেই দেখা যেত বেদেদের সারি সারি নৌকা। সাপ খেলা, তাবিজ কবজ বিক্রি, সিঙ্গা লাগানোর ছিলো জীবিকার অন্যতম প্রধান অবলম্বন। আর এ জন্য ছড়িয়ে পরতো লোকালয়ে। কিন্তু এই গল্প এখন কেবলই ইতিহাস। সাভারের বংশী নদীর বংশি নদীর পারেও দল বেধে বাস করতো জেলেরা। সময়ের সাথে সাথে ণৌকা থেকে তারা উঠে এসে বাস করছে ডাঙ্গায়, তাও অনেক দিনের কথা।পৌর সভার মধ্যেই তিনটি গ্রাম পোড়াবাড়ী, আমলপুর ও কাঞ্চনপুর জুরে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২০০ পরিবারে বসবাস। এখানকার ২০ হাজারেরও বেশি বেদের কেউ কেউ ঐতিহ্য ধরে রাখলেও জীবিকার প্রয়োজনে বেশির ভাগ ছেড়েছেন পূর্বপুরুষের পেশা ।বেদে সম্প্রদায়ের জীবন যাত্রায়ও এসেছে পরিবর্তন। ছাউনির ঘরের স্থানে অনেকেরই শোভা পাচ্ছে, পাকা- আধা পাকা ঘর। সামজিক এবং রাজনৈতিক ভাবেও তারা করছে প্রতিনিধিত্ব। নানামুখি পদক্ষেপের ফলে মাদকের বিস্তার কমে আসলেও আবারো তা বাড়তে শুরু করেছো। জীবিকার জন্য বেদে পল্লীর উল্লেযোগ্য প্রবিনকেই নির্ভর করতে হয় পরিবারের উপার্জনক্ষম অন্য সদস্যর উপর, কিন্তু তাও যাদের নেই তাদের জীবন কাটে মহা কস্টে।
এক সময়ে অপ্রপ্ত বয়সেই এখানকার কণ্যা শিশুদের বিয়ে দেয়ার প্রবনতা থাকলেও এখন কিছুটা কমেছে। তবে তাদের প্রচলিত নিয়মেই হয় বিয়ে কিম্বা বিচ্ছেদ। শিক্ষার আগ্রহ থাকলেও দারিদ্রতার কারনে সে সুযোগ বঞ্চিতদেরসংখ্যাও কম নয়।ভক্সপপ
আগামী প্রযন্মের জন্য হলেও দীর্ঘ দিনের জমানো কষ্টের ইতি দেখতে চান বেদেরা।

আরো কিছু পোস্টঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *