দেশে মাউশির নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। মাউশির প্রতিবেদন বলছে, বার্ষিক পরীক্ষায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার (৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ) বেশি, বরিশাল অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে কম (৬ দশমিক ৬২ শতাংশ)।
বাল্যবিবাহের কারণে অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী অঞ্চলে (১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ), সবচেয়ে কম সিলেট অঞ্চলে (৪ দশমিক ৩০ শতাংশ)।
সম্প্রতি মাউশি সূত্রে জানা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুরের শাড়িঘাট হাইস্কুলে ২০২০ সালে ৭৪৬ শিক্ষার্থী ছিল। ২০২১ সালে শিক্ষার্থী কমে দাঁড়ায় ৬৮৪ জনে। বিদ্যালয়টির ১৪ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়ে গেছে।
শিশুশ্রমে যুক্ত শিক্ষার্থীও রাজশাহী অঞ্চলে বেশি। এ কারণে এই অঞ্চলে প্রায় ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। কম চট্টগ্রাম অঞ্চলে (প্রায় ১৩ শতাংশ)।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, নাগরিক সমাজ ও গবেষকদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ ছিল করোনার মধ্যে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম বাড়তে পারে।
মাউশির তথ্য বলে দিচ্ছে, উদ্বেগটি বাস্তব ছিল। এখন পরামর্শ থাকবে, মাউশির এই তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে শিখনঘাটতি পূরণ এবং পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা। তবে সেটি যেন গতানুগতিক ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে।