আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এক অনুষঙ্গ মোবাইল ফোন। এক সময়ে শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত থাকলেও, বর্তমানে জীবন নিয়ন্ত্রক হিসেবে স্থান পেয়েছে মুঠোফোন। কিন্তু মোবাইলের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলোও উঠে এসেছে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গবেষণায়, যা রীতিমত আতংকের কারণ। আরও জানাচ্ছেন মাহবুব সৈকত।
বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে মুঠোফোণ।
এক সময় এই ক্ষুত্র যন্ত্রটি ছিলো শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে, কিন্তু তা এখন অতিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাক্তি এবং সমাজ জিবনের নিয়ন্ত্রক ই হয়ে উঠেছে ইন্টানেটের প্রযুক্তি সম্বলিত মোবাইল ফোন।
কিন্তুু মোবাইল ফোনের অনিয়ন্ত্রিত এবং অসতর্ক ব্যবহারের মারাত্ত্বক ক্ষতিকর দিক গুলোও, উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষনায়।
মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তায় মস্তিস্কে মেলাটনিনের পরিমান হ্রাস করে, ফলে বিভিন্ন স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়, এছাড়া নিস্বরিত তরিতৎ তরঙ্গের কারনে অনিদ্রা, এলঝেইমার, পারকিনসনস রোগ ও দেখা দিতে পারে।
এছাড়া পুরুষরা প্যান্টের পকেটে মেবাইল রাখার কারনে শুক্রানু দ্রুত নষ্ট হওয়া এবং নারিদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারে গর্ভের ভ্রনের মস্তিস্কির বিকাশ ব্যাহত হয় ।
গবেষনা বলছে মোবাইলের ইলেকট্র ম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের ফলে, ব্রেনে টিউমার, ক্যান্সার, চোখ, কান ও হার্টে সমস্যা তৈরী হয়।
রাতে ঘুমোতে গিয়েও মন থাকে কখন আসে ফোন আবার বিছানার পাশে ই থাকে চার্জের ব্যবস্থা, এতে ধীরে ধীরে মারাত্ত্বক ক্ষতির কথা জানলেও সংশোধন হয় না অভ্যাস।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে কোন মুল্যে পরিবর্তন করতে হবে জীবন যাত্রার অভ্যাস।
মোবাইল আসক্তি থেকে তৈরী হচ্ছে সামাজিক সদস্যাও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রযুক্তি থেকে থাকা যাবে না দুরে তবে । ব্যবহারে হারে হতে হবে সজাগ।
সকলের প্রার্থনা ক্ষতিকর সকল দিক এড়িয়ে সতর্ক ব্যবহারে প্রযুক্তির আর্শিবাদ হিসেবেই চিহ্নিত থাক মোবাইল।
নিচে এ বিষয়ে ভিজ্যুয়াল রিপোর্টটি তুলে ধরা হলো।