গত এক দশকে যে কয়টি বিষয়ে এগিয়েছে দেশ তার মধ্যে শিক্ষা অণ্যতম।। বিগত বছরগুলোতে গর্ব করার মত সাফল্য এসেছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে। কিন্তুু এত কিছুর পরেও শিক্ষার মান নিয়ে সন্তষ্ট হতে পারছেননা শিক্ষাবিদরা। এমনকি বিভিন্ন সভা সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী কথা বলছেন বিষয়টি নিয়ে।
শিক্ষার মান উন্নয়নে পরিক্ষা নিরীক্ষাও কম করা হচ্ছে না। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী গত পাচ বছরে একবার কারীকুলাম এবং পাচবার পরিবর্তন- পরিমার্জন করা হয়েছে পাঠবই ও। পরিক্ষার পদ্ধতিও পাল্টানো হয়েছে কয়েকবারা। এর নেতিবাচক প্রভাব পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরই। সময় এবং পরিক্ষার চাপ কমাতে গত চলতি বছর জেএসসি থেকে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখি শিক্ষ, এবং চারু ও কারু কলা এবং এসএসসিতে শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষার পরিক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে পাঠদান,পরিক্ষা এবং নম্বরও প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানগুলো, নম্বর ফর্দে উল্লেখ থাকলেও কৃতকার্য কিম্বা অকৃতকার্য হওয়ার ক্ষেত্রে যোগ হবে না এই নম্বর।। যদিও বিষয়টি চিন্তা করেই করা হয়েছে বলে দাবী তৎকালিন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ওয়াহিদুজ্জামানের। তবে পাঠদান গুরুত্বের সাথেই করানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। যদিও এই দাবীর সত্যতা পাওয়া যায়নি রাজধানীর স্বনামখ্যাত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থিদের সাথে কথা বলে ।
সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর শিক্ষকদের সাথে কথা বলেও জানা যায় পাবলিক পরিক্ষা থেকে বাদ দেয়ায় তারা অনেকটা উছিষ্টের মত হয়ে গেছে।
ক্লাসেই আসেনা শিক্ষার্থীরা। তবে মাধ্যমিক স্থরে মুল পরিক্ষাগুলো থেকে বাদ পরা বিষয়গুলো নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং অভিভাবকদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। তবে এরই মধ্যে সংশ্লিস্ট বিষয়গুলো গুরুত্বহীন হয়ে পরায় সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সৃজনশীল ব্যাক্তিরা। বর্তমান প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের বিকশিত হওয়ার বিষয়গুলোর পাঠদান গুরুত্বের সাথে নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের ভবিষ্যত কর্নধাররা যোগ্য রুপে গরড় উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
( নিন্মে রিপোর্টের ভিজুয়াল দেয়া হলো )