ভয়ঙ্কর অনলাইন গেম ! সতর্ক থাকুন সচেতন রাখুন !!

অনলাইন ভিত্তিক গেম ‘ব্লু হোয়েল’ ইতোমধ্যে কমবেশি সব দেশেই আলোড়ন তুলেছে। সারাবিশ্বে অভিভাবকের জন্য এখন আতঙ্কের নাম এটি। রাশিয়ায় উদ্ভাবিত এই গেম খেলতে গিয়ে সারা পৃথিবীতে এরই মধ্যে দেড়শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই কিশোর বয়সী। ‘ব্লু হোয়েল’ গেমটি ২০১৩ সালে রাশিয়ায় তৈরি হয়। বাংলাদেশের কিছু ছেলেমেয়েও এই খেলা খেলছে বলে শোনা যাচ্ছে। অভিভাবকসহ সবারই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।

শুধু ‘ব্লু হোয়েল’ নয় অনলাইন ভিত্তিক আরো বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর খেলা রয়েছে। কিশোর-কিশোরীরা কৌতুহলবশত আবার অনেকে রোমাঞ্চের নেশায় এসব খেলায় মেতে উঠেন।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই খেলাগুলো নিয়ে অভিভাবক মহলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একট প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

অভিভাবকদের এসব মরণফাঁদ গেমের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ছেলে-মেয়েরা এসব খেলায় আসক্তি হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার কাছের কেউ এই চ্যালেঞ্জগুলোয় জড়িয়ে পড়ছে কি না, খোঁজ নিয়ে তাকে বিরত রাখতে হবে।

দ্য চোকিং গেম/চ্যালেঞ্জ:

বন্ধুর গলা চেপে তাকে বেহুঁশ করতে হবে। এমন অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। উদ্দেশ্য জ্ঞান ফেরার পর নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া। স্পেস মাঙ্কি, ব্ল্যাকআউট, নকআউট ইত্যাদি নামেও এই গেম পরিচিত। এই খেলাটি এক দশক আগে বেশ প্রচলিত ছিল। বর্তমানে আবার এই খেলাটি শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এক গবেষণায় দেখে গেছে, এই চোকিং গেমে পারদর্শী ছেলেমেয়েরা দুয়েকবার খেলার পরই প্রায়ই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এই খেলায় সহজে শিশুরা অংশ নিতে পারে। সাধারণত থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু কিশোররা এই খেলায় আসক্তি হয়।

   গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণরা এসব খেলার বিষয়ে সচেতন হলেও অনেক অভিভাবক, শিক্ষাবিদ শিশু বিশেষজ্ঞরা ব্যাপারে সচেতন নয়।

ছেলেমেয়েরা সাধারণত কৌতুহলবশত এই খেলায় অংশ নেয়। অনেকে এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায়, আবার কেউ কেউ মৃতপ্রায় অনুভূতি পরখ করতে রোমাঞ্চকর হয়ে এই খেলায় অংশ নেয়।

ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এই খেলায় সহজে শিশুরা অংশ নিতে পারে। সাধারণত থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু কিশোররা এই খেলায় আসক্তি হয়।    গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণরা এসব খেলার বিষয়ে সচেতন হলেও অনেক অভিভাবক, শিক্ষাবিদ শিশু বিশেষজ্ঞরা ব্যাপারে সচেতন নয়।

ছেলেমেয়েরা সাধারণত কৌতুহলবশত এই খেলায় অংশ নেয়। অনেকে এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায়, আবার কেউ কেউ মৃতপ্রায় অনুভূতি পরখ করতে রোমাঞ্চকর হয়ে এই খেলায় অংশ নেয়।

ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এই খেলায় সহজে শিশুরা অংশ নিতে পারে। সাধারণত থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু কিশোররা এই খেলায় আসক্তি হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণরা এসব খেলার বিষয়ে সচেতন হলেও অনেক অভিভাবক, শিক্ষাবিদ শিশু বিশেষজ্ঞরা ব্যাপারে সচেতন নয়।

ছেলেমেয়েরা সাধারণত কৌতুহলবশত এই খেলায় অংশ নেয়। অনেকে এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক সম্পর্কে সচেতন না হওয়ায়, আবার কেউ কেউ মৃতপ্রায় অনুভূতি পরখ করতে রোমাঞ্চকর হয়ে এই খেলায় অংশ নেয়।

 

 

ডাক্ট টেপ চ্যালেঞ্জ:

 

ডাক্ট টেপ পেঁচিয়ে ব্যবহারকারীকে একটি চেয়ারে আটকে রাখা হয়। ১৮০ সেকেন্ডের মধ্যে পালাতে হবে এর থেকে। পালানোর পুরো ঘটনা ভিডিও করে আপলোড করা হয় বিভিন্ন পোর্টালে। বেমক্কা চেয়ার উল্টে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে।

 

 

ঘোস্ট পেপার চ্যালেঞ্জ: মরিচের সবচেয়ে ঝাল একটি প্রজাতির নাম ‌‘ভূত জোলোকিয়া’, বাংলায় বলতে পারেন ভুতুড়ে মরিচ। এই মরিচ মুখে রেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করে কিশোর-কিশোরীরা। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুখে জ্বালাপোড়াসহ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকেই হাসপাতালে গিয়েছে।

 

আইস সল্ট চ্যালেঞ্জ: সল্ট অ্যান্ড আইস ব্লু হোয়েলের মতোই মারণ গেম। যেখানে খেলোয়াড়কে বিভিন্ন টাস্ক দেওয়া হয়। যে টাস্কের জন্য গেমের এমন নাম তা হল, দেহের বিভিন্ন অংশের চামড়ার উপর লবণ রাখতে বলা হয়। তারপর লবণের উপর বরফ রাখতে বলা হয়। লবণ এবং বরফের বিক্রিয়ায় একটা প্রচণ্ড জ্বালা অনুভূত হয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার মতো। খেলোয়াড়দের রেকর্ড করে রাখতে হয় কে কতক্ষণ এই জ্বলন সহ্য করতে পারবে। তারপর তা পোস্ট করতে হয় ইউটিউব বা অন্য কোনো সোশাল মিডিয়ায়।

দারুচিনি চ্যালেঞ্জ: দারুচিনি গুঁড়ো পানি ছাড়া মুখে পুরে রাখা হয়। মুখের ইনফেকশন ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের সব চ্যালেঞ্জই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলার নামে এসব কর্মকাণ্ডকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি অনলাইনে যাতে এসব গেম না পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও নেওয়া জরুরি।

   আইবল চ্যালেঞ্জ: চোখ মদের বোতলে রেখে বোতল উপুড় করে ধরে রাখা হয়। যন্ত্রণা কতক্ষণ সহ্য করা যায়, তারই পরীক্ষা এটি। গেমটি নিজে খেলার পর সামাজিক মাধ্যমে অন্যদেরও করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় খেলোয়াড়রা।

সূত্র – পরিবর্তন ডট কম

 

আরো কিছু পোস্টঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *