ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেও হতাশ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা !

মাহবুব সৈকত :: দেশের মুখ উজ্জল করতে নতুন কিছু উদ্ভাবনের স্বপ্ন নিয়ে দেশের সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং অত্যাধুনিক গবেষনাগারের অভাবে সে স্বপ্ন তাদের অধুরাই থেকে যাচ্ছে। দেশের সব্বোর্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও এর ব্যাতিক্রম নয়। মেধা সম্পদকে কাজে লাগাতে শিক্ষা খাতে গবেষনায় আরো বেশি অর্থ বড়াদ্দের পরামর্শ শিক্ষাবিদদের। তথ্যমতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ বরাদ্দ হয় গবেষনায়।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাচ্যের অক্সফোড। শিক্ষার্থীর কাছে এখানে পড়ার সুযোগ পাওয়া মানে স্বপ্ন পুরন হওয়া। কিন্তুু স্নাতক কিম্বা স্নাতকত্তোরের পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষনার সুযোগ কম। সেকারণে হতাশ মেধাবিরা। বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই যেতে চান উচ্চতর অধ্যাবসায়ে। কিন্তু প্রধান বাধা মান সম্মত গবেষনাগার এবং অর্থ। শিক্ষার্থীদের এই অনুভবের সাথে একমত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অকতারুজ্জামান। গবেষনায় আরো সুযোগ তৈরীর আশ্বাস দেন তিনি।
একই অবস্থা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বাবদ্যালয়। বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে বুয়েট প্রকৌশলীদের সরব উপস্থিতি। বর্তমান সময়ে অধ্যায়নরতরাও চায় সেই সুনাম ধরে রাখতে। তবে পর্যাপ্ত সহায়তা না পেলে
নব উদ্ভাবনের স্বপ্ন পূরণ কঠিন হবে বলে মনে করে তারা। গবেষনায় নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হলেও সকল বিভাগে নেই অত্যাধুনিক গবেষনাগার ও সর্বশেষ প্রযুক্তির সরঞ্জাম । প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই শিক্ষালয়টি থেকে গর্ব করার মত উদ্ভাবন আসছেনা বলে জানান কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. এম সোহেল রহমান।
বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের দিয়ে উদ্ভাবনের চিন্তা এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ সময়ের দাবী বলে মনে করেন গবেষক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম । বিশ্বের বুকে দেশের নাম সমুজ্জল রাখতে মেধা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মানের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
( রিপোর্টটি ভিজুয়াল দেয়া হলো নিন্মে )

আরো কিছু পোস্টঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *